জীবনের গল্প

ইলন মাস্ক এর জীবনী ও উক্তি। Elon Musk Biography Bangla

কম বেশি সবারই দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন থাকে ধনী হওয়ার।পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যারা শুধু ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখেই ক্ষ্যান্ত হননি বরং দিনকে রাত বানিয়ে পরিশ্রম আর মেধার সমন্বয় ঘটিয়ে ধনীর তালিকায় সবার শীর্ষে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।জেনে নেয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির নাম এবং তার  সম্পর্কে নানান অজানা তথ্য। 
 
 

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক এর বায়োগ্রাফি 

এলন মাস্ক হলেন পৃথিবীর সব চেয়ে ধনী ব্যক্তি।তিনি দেখতে যেমন সুন্দর তেমন মেধাবী ও পারদর্শী। 
 
 
আরো জেনে অবাক হবেন যে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জেফ বেজোসকে পিছনে ফেলে বর্তমানে ইলন মাস্ক ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় সবার শীর্ষে সোর্সঃ (শীর্ষ ধনীর তালিকা)।বলাবাহুল্য জেফ বেজোস ২০১৭ সাল থেকে নিজেকে এই তালিকায় সবার শীর্ষে ধরে রেখেছিলেন।আর আজ সেই জায়গায় রাজত্ব করছেন ইলন মাস্ক।
 
ইলন মাস্ক টুইটারে তার সম্পত্তির ব্যপারে কিছু তথ্য দেন যা অবাক করার মত।তিনি জানানঃ- 
 
ইলন মাস্ক উক্তিঃ 
 
“আমার অর্ধেক অর্থ পৃথিবীর সমস্যার জন্য তোলা রয়েছে বাকি অর্ধেক ব্যয় হবে মঙলের স্বনির্ভর শহর প্রতিষ্ঠার সহায়তায় যা জীবনের গতি প্রবাহ অব্যাহত রাখবে যদি পৃথিবীতে ডায়ানোসরের উল্কা আঘাত হানে বা ৩য় বিশ্বযুদ্ধের মত কিছু করে আমরা নিজেদের ধ্বংস করে ফেলি”
 

ইলন মাস্কের ব্যক্তিজীবনঃ

 
আমরা যদি ইলন মাস্ক এর ব্যক্তিজীবনের দিকে যায় তবে দেখা যাবে তার ব্যক্তিজীবন খুব একটা আনন্দের ছিল না।সময়ের পরিক্রমায় প্রিয়তমার সাথে বিচ্ছেদ সহ পুনরায় বিয়ের খবর শুনা যায়।২০০০সালে কানাডিয়ান লেখিকা জাস্টিনকে বিয়ে করেছিলেন ইলন মাস্ক এবং আট বছর অতিবাহিত হতে না হতেই শুনা যায় বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন।যদিও এইটাই সত্যি যে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায় ২০০৮ সালে।এবং তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকা অবস্থায় তাদের ছেলে মেয়ের জন্ম হয়।
এলন মাস্ক এর ছবি
ইলন মাস্ক এর জীবনী
 
এরপর বছর দুয়েক পর ২০১০ সালে বিয়ে করেন অভিনেত্রী টালুলাহ রিলেইকে।বিয়ে টিকে ছিল প্রায় ২বছর।২০১২ সালে টালুলাহর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।২০১৩ সালে টালুলাহকেই পুনরায় বিয়ে করেন ইলন মাস্ক।২০১৬ সালে আবার টালুলাহর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে বলে জানা যায়।সঙীতশিল্পী গ্রিমসের সঙে ২০১৮ সালে ইলন মাস্ক সম্পর্কে জড়ান।
 
ইলন মাস্কের সফলতার আলোড়নঃ 
ছোট বেলা থেকে কম্পিউটারের প্রতি ঝোক থাকায় মাত্র ১২ বছর বয়সে ইলন মাস্ক ব্লাস্টার্স গেইমটি আবিষ্কার করেন।এইটাই ছিল তার প্রথম আবিষ্কার।পরবর্তীতে গেইমটি ৫০০ডলারে বিক্রি করেন।
 
ইলন মাস্ক একাধারে অনেক গুলো সফলতা অর্জন করে পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দেন।দুনিয়া যখন ইন্টারনেট জগতে গা ভাসাচ্ছিল তখন ইলন মাস্ক ও নিজেকে একই জোয়ারে ভাসিয়ে দিলেন এবং পিএইচডি করার পরিবর্তে তিনি zip 2 আবিষ্কার করেন।জিপ ২ একটি অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্টান।যা অনলাইন সিটি গাইড দিয়ে থাকে।এবং এই প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে।পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে compaq computers এর কাছে ৩০৭ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে zip 2 বিক্রয় করেন।
 
১৯৯৯ সালে তিনি আরো একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠানের সূচনা করেন যেটি পেমেন্ট সিস্টেম x.com প্রতিষ্ঠান নামে পরিচিত।এটি তৈরি করার পিছনে তিনি ১০মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেন।
 
এছাড়া তিনি spaceX,Tesla,Hyperlop সহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিক।
 
 ইলন মাস্ক একজন রকেট বিজ্ঞানী হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেন।মজার তথ্য হলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট spaceX এর মাধ্যমে উড্ডয়ন করে যা ইলন মাস্কের প্রতিষ্টিত।এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি প্রায় অনেকেরই অজানা।
 
ইলন মাস্কের আরো কিছু অজানা তথ্যঃ
 
নামঃইলন মাস্ক (Elon Musk)
 
জন্মঃদক্ষিণ আফ্রিকার প্রোটোরিয়ায়, ২৮ শে জুন ১৯৭১ সালে জন্ম।
 
মাতাঃ মায়ে মাস্ক। তিনি একজন  কানাডিয়ান।
 
পিতাঃএরোল মাস্ক। তিনি ইন্জেনিয়ার,নাবিক ও পাইলট।
 
বংশোদ্ভূতঃদক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত
 
ভাইঃভাই কিম্বল
 
বোনঃটসকা।
 
 
শিক্ষাঃইলন মাস্ক প্রোটোরিয়া বয়েজ স্কুলে লেখাপড়া করেন।১৯৯৭ সালে হোয়ারটন স্কুল থেকে অর্থনীতিতে ব্যাচেলর ডিগ্রীও আর্জন করেন।এরপর পেনসেলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শুরু করেন ব্যবসা ও পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে।এবং ব্যাচেলর ডিগ্রী লাভ করেন।তারপর জ্বলানি পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রীর জন্য স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিট হন।
 
পশাঃউদ্যোক্তা,প্রকৌশলী,ডিজাইনা
 
কর্মজীবনঃস্পেসএক্স, পেপ্যাল, টেসলা ইনকর্পোরেশন, হাইপারলুপ, জিপটু, সোলারসিটি ইত্যাদি।
 
শেষ বাক্যঃ
ইলন মাস্ক নিঃসন্দেহে একজন সফল ব্যক্তি।যুগে যুগে অনেক ইলন মাস্কের হয়ত জন্ম হবে তবে ইলন মাস্ক একটাই থাকবেন।
 
ইলন মাস্কের একটা জনপ্রিয় উক্তি দিয়ে আজকের বায়োগ্রাফির সমাপ্ত ঘটাতে চাই।
 
ইলন মাস্ক উক্তি বলেন-
 
“আমি পিতামাতার হাত ধরে বড় হয় নি, বড় হয়েছি বই পড়ে পড়ে।”