টেকনোলজি এবং অনলাইনসেরা দশ

বছরের সেরা ১০ মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড ২০২২

বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন হলো আমাদের প্রতিমূহুর্তের সঙ্গী। দিনের শুরু হতে রাতের শেষ পর্যন্ত আমরা মোবাইল ব্যাবহার করি। এমন কোনো কাজ নেই যা আমরা মোবাইলের সাহায্য ছাড়া করতে পারি। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে বর্তমান সময়ের জন্য স্মার্টফোন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ফলস্বরূপ মোবাইল বাজারে গেলে আমরা নিজেদের জন্য সবচেয়ে ভালো ব্র্যান্ড এবং ভালো কনফিগারেশন এর মোবাইলটি খুঁজে থাকি।

 

২০২২ সালের জনপ্রিয় ১০ টি মোবাইল ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানু্ন

 

আজকে আমরা ২০২২ সালের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানবো। এই ব্র্যান্ড গুলো আমরা বিভিন্ন বিজনেস প্যারামিটার যেমন সাম্প্রতিক বার্ষিক শিপমেন্ট, মার্কেট শেয়ার, সেলস ইত্যাদি বিষয়ের উপর বিবেচনা করে তৈরি করেছি।

মোবাইল ফোনের ছবি
সেরা ১০ মোবাইল ফোন কম্পানী

 

 

১. স্যামসাং (Samsung) : সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমরা যে মোবাইল ব্র্যান্ডটি প্রথম স্হানে রেখেছি তা হলো দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানি স্যামসাং। স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রিতে স্যামসাং হলো মার্কেট লিডার বিশেষ করে তাদের বিভিন্ন সেগমেন্টের মোবাইলের জন্য। তাদের মার্কেট শেয়ারের পরিমান প্রায় ২০ শতাংশ। মোট শিপমেন্টের পরিমান পরিমান ২৭২ মিলিয়ন। এই কারণেই স্যামসাং আমাদের লিস্টের প্রথম স্হান দখল করেছে।

 

২. অ্যাপল (Apple) : ১৯৭৬ সালে স্টিভ জবস এবং রোনাল্ড ওয়েন এর হাত ধরে জন্ম হয় অ্যাপল ব্র্যান্ডের। অ্যাপল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় তাদের ক্লাসি ডিজাইনের আইফোনের কারণে। তারা তাদের ডিজাইন, ফিচার, কোয়ালিটি এবং বিভিন্ন টেকনোলজিক্যাল সুবিধার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি। তাদের মার্কেট শেয়ার প্রায় ১৭-১৮ শতাংশ এবং শিপমেন্ট ইউনিট ২৩২ মিলিয়ন।

 

৩. শাওমি  (Xiaomi) : শাওমি হলো সবচেয়ে দ্রুততম গ্রো করা একটি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড। ২০১০ সালে চীনের লেই জুন এর হাত ধরে শাওমি ব্র্যান্ডের আত্ন্যপ্রকাশ পায়। ২০১১ সালে তারা তাদের প্রথম স্মার্টফোন বাজারজাত করেন। শাওমি মোবাইলকে “অ্যাপল অব চায়না” বলা হয়। বর্তমানে সারা বিশ্বব্যপী শাওমি পাওয়া যায়। বর্তমানে তাদের মার্কেট শেয়ার ১৫.৫ শতাংশ এবং শিপমেন্ট ইউনিট ১৮৬ মিলিয়ন।

 

৪. অপ্পো (Oppo) : অপ্পো হলো চীন দেশের কোম্পানি বিবিকে ইলেকট্রনিকস এর মোবাইল ব্র্যান্ড। ২০১১ সালে অপ্পো ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তারা তাদের লো সেগমেন্ট বাজেট স্মার্টফোন এবং ক্যামেরা ফোনের কারণে অধিক বেশি জনপ্রিয়। ২০১৭ সালে ভারত ক্রিকেট দলের অফিসিয়াল স্পন্সর হিসেবে অপ্পো যুক্ত হয়।  বর্তমানে তাদের মার্কেট শেয়ার ১০ শতাংশ এবং শিপমেন্ট ইউনিট ১৩৩ মিলিয়ন।

 

৫. ভিভো (Vivo) : অপ্পোর পাশাপাশি ভিভো ও চায়না কোম্পানি বিবিকে ইলেকট্রনিকস এর আরো একটি মোবাইল ব্র্যান্ড। ২০০৯ সালে ভিভোর যাত্রা শুরু হয়। তারা তাদের ফানটাচ এন্ড্রোয়েড সিস্টেমের কারণে খুবই জনপ্রিয়। দ্রুত বৃদ্ধিশীল মোবাইল ব্র্যান্ডে মধ্যে ভিভো একটি৷ বর্তমান তাদের মার্কেট শেয়ার ১০ শতাংশ এবং শিপমেন্ট ইউনিট ১৩২ মিলিয়ন।

 

৬. রিয়েলমি (Reamle) : ২০১৮ সালে মোবাইল ব্র্যান্ড রিয়েলমি প্রতিষ্ঠিত হয়। ইহাও একটি চাইনিজ ব্র্যান্ড এবং খুব কম সময়ে তারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। অপ্পো, ভিভোর পাশাপাশি রিয়েলমিও বিবিকে ইলেকট্রনিকস এর মোবাইল ব্র্যান্ড। বর্তমানে রিয়েলমি ভারতের লিডিং মোবাইল ব্র্যান্ড। তাদের মার্কেট শেয়ার ৩ শতাংশ এবং শিপমেন্ট ইউনিট ৪৮ মিলিয়ন।

 

৭. মটোরোলা/লেনোভো (Motorala mobility Lenovo) : মটোরোলা হলো লেনোভো ব্র্যান্ডের একটি সাবব্র্যান্ড। ইহা একটি আমেরিকান মোবাইল ব্র্যান্ড। শক্তিশালী ফোন তৈরির মধ্যে মটোরোলা খুবই পরিচিত৷ তাদের মার্কেট শেয়ারের পরিমাণ ৩ শতাংশ এবং শিপমেন্ট ইউনিট ৪৬ মিলিয়ন।

 

৮. হুয়াওয়ে (Huawei) : হুয়াওয়ে হলো সবচেয়ে বৃহৎ স্মার্টফোন তৈরিকারী একটি চাইনিজ কোম্পানি। ১৯৮৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠা হয়। ১৭০ টির ও বেশি দেশে হুয়াওয়ে পাওয়া যায়। শুরুর দিকে প্রথম সারির একটি মোবাইল ব্র্যান্ড হিসেবে থাকলেও বর্তমানে বিভিন্ন গ্লোবাল ইস্যুর কারণ হুয়াওয়ে অষ্টম স্হানে অবস্থান করছে। তাদের মার্কেট শেয়ার ২ শতাংশ এবং শিপমেন্ট ইউনিট ৩০-৩৫ শতাংশ।

 

৯. টেকনো/আইটেল ( Transsion-Tecno, itel) : বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের ফিচার ফোন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।  কোয়ালিটির পাশাপাশি মানুষ বিভিন্ন ফিচারযুক্ত ফোন পছন্দ করে। টেকনো, আইটেল ব্র্যান্ডগুলো বর্তমানে ফিচারের দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানি স্যামসাং কে চ্যালেন্জ করছে৷ আফ্রিকাতে এই ব্র্যান্ডগুলো খুবই জনপ্রিয়। তাছাড়া ভারতেও দিন দিন এদের ব্যাবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের মার্কেট শেয়ার প্রায় ২ শতাংশ এবং শিপমেন্ট ইউনিট ৩০ মিলিয়ন।

 

১০. অনার (Honor) : অনার হলো সবচেয়ে বেশি পপুলার একটি টেক ব্র্যান্ড। কনজিওমারের দিক দিয়ে এটি একটি লিডিং ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড। ২০১৩ সালে ব্র্যান্ডটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে৷ বর্তমানে প্রায় ১০০ টির ও বেশি দেশে এটি এভেইলেবল। ইলেকট্রনিকস ডিভাইসের পাশাপাশি স্মার্টফোনের জন্য অধিক পরিচিত এই কোম্পানি।  তাদের মার্কেট শেয়ারের পরিমান প্রায় ১-২ শতাংশ এবং শিপমেন্ট ইউনিট ২২ মিলিয়ন। 

 

 

 

 

আর্টিকেলটি ভাল লাগলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে সাথে ফেসবুকে শেয়ার করুন এবং এই ধরনের আরো বিভিন্ন পোস্ট পেতে আমাদের সাইটটি ঘুরে দেখুন।