ক্যারিয়ার

বয়স এখন ৩০! এখন না হলে কখন ? Career advice.

career advice

আমাদের দেশের এবং মূলত পুরো ভারতীয় উপমহাদেশেই শিক্ষা জীবন শেষ করে মোটামুটি একটি একটা স্যাটেলড জীবনে প্রবেশ করতে প্রায় ২৭-৩০ বছর বয়স লেগেই যায়। আবার কারো কারো হয়তো কি করবো , না করবো তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দে সময় কাটিয়ে চলে আসে এই বয়সটা। তবে অবস্থা যা ই হোক, এই বয়েসের মধ্যেই নিজেকে ঘুছিয়ে নিতে না পারলে ভবিষ্যতে খারাপ সময় দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে। তাই নিজেকে ঘুছিয়ে নিতে কাজে লাগতে পাড়ে নিচের ছয়টি টিপস। সেগুলো হলোঃ

ক্যারিয়ার ফিল্ড নির্বাচনঃ চকুরী করবো নাকি ব্যাবসা ? দুখঃজনক হলেও সত্যি যে আপনার এখন আর এই বিষয়টা নিয়ে কনফিউজড থাকার সময় নেই। হাতের কাছে যে অপশনটি আপাতত আছে তাতে লেগে পরা উচিত। এবং সেখানে থাকা অবস্থায় ইচ্ছা করলে নতুন কিছুতে যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আর যদি আপনি অলরেডি একটা মাধ্যোমে থেকে থাকেন তাহলে অভিনন্দন আপনাকে। পরবর্তী স্টেপস গুলো আপনার জন্যই।

১/ সঞ্চয় শুরু করাঃ এই সময়টাকে বলা হয় জীবনের সর্বোচ্চ কর্মক্ষমতা সমপন্ন সময়। এখন আপনি যেমন পরিশ্রম করতে পারবেন ২০ বছর পর বা তারও পরে আপনি তেমন পরিশ্রম করতে পারবেন না। সুতরাং যে পেশাতেই থাকুন , এটাই মোক্ষম সময় , যখন আপনার ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমানো শুরু করা উচিত। আয়ের একটা বিশেষ অংশ প্রতি মাসে সঞ্চয় করতে চেষ্টা করুন।

২/ স্বাস্থ সুরক্ষাঃ সঞ্চয় করেই কি লাভ , যদি ভোগই না করতে পারলেন। পরিশ্রম করতে হবে ঠিকই তবে খেয়াল রাখতে হবে স্বাস্থের প্রতিও। কারন যদি সুস্থ না থাকেন তবে সকল অর্জনও পনসে মনে হবে। তাই ৩০ পরবর্তী ক্ষয়িষ্ণু শরীরের যত্নে মেনে চলতে হবে হেলদি লাইফ স্টাইল। যা আপনাকে আগামী ২০ বছরেও একই রকম সতেজ এবং তরুন রাখবে।

৩/ প্রায়োরিটির তালিকাঃ  এই সময়টাই উপযুক্ত সময় যখন আপনাকে নির্বাচন করতে কি এবং কারা আপনার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ন। যারা আপনাকে গুরুত্ব দেয় তাদেরই গুরুত্ব দিন , যারা আপনার ব্যাপারে উদাসীন তাদের পিছনে গুরুত্বপূর্ন সময় নষ্ট করা বোকামি। নিজের কাজ গুলোকে আশে-পাশের আপন মানুষ গুলোকে সময় দিতে শিখুন।

৪/ ভুল থেকে শিখুনঃ অভিজ্ঞতার চেয়ে বড় কোন জ্ঞান নেই। জীবনে সফলতা আসে অভিজ্ঞতা থেকে ,আর অভিজ্ঞতা আসে ভুলের থেকে শিক্ষা নেয়া বাজে অভিজ্ঞতা থেকে।একই ভুল একবারের বেশি না হতে দেয়াটাই সফলতা ।

৫/ প্রতিনিয়ত নিজেকে উন্নত করাঃ প্রতিদিন নিজে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছে তৈরি করুন নিজের মাঝে। প্রতিদিন নিজেকে গতকালের তুলনায় উন্নত করতে হবে । এই ইচ্ছা নিজের মাঝে তৈরি করে নিতে পারলে আপনাকে সফলতার পিছনে দৌড়তে হবেনা, সফলতাই আপনার পিছনে দৌড়বে ।

৬/কাছেরমানুষগুলোর যত্নবানঃ কাজের চাপ, ব্যাস্ততা, ক্লান্তি সব মিলিয়ে এই সময়ে আমাদের চারপাশটা ছোট হয়ে আসে। স্কুল কলেজের মতো ঝাকে ঝাকে বন্ধু থাকেনা। তাই পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবী যারাই আশেপাশে আছেন তাদের প্রতি যত্নবানহন। বিশেষ করে বাবা-মার প্রতি কেয়ার নেয়া বেশি জরুরী। বড় হওয়ার সবচেয়ে বড় ডীস এডভান্ডেজ হচ্ছে নিজের বাবা-মাকে ধীরে ধীরে বৃদ্ধ হয়ে যেতে দেখা।

ইংরেজীতে খুব পরিচিত  একটা বাক্য আমরা প্রায় সবাই পড়েছি- “Time and tide wait for none” তাই সময়ের গুরুত্ব বুঝে , সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজের জীবনকে  সুন্দর করতে পারাটাই সফলতা। আপনার মতে এই বয়সের আরো কি কি করনীয় সাজেশান আছে তা comment করে জানাবেন । আর ভাল লাগলে অবশ্যঐ বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।