টিপস অ্যান্ড ট্রিকসটেকনোলজি এবং অনলাইন

ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়

ফেসবুক একাউন্ট নিরাপদ  রাখার উপায়

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়া হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুকের জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে  ফেসবুক একাউন্টের নিরাপত্তা ঝুঁকি।বিভিন্ন একাউন্টে ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং ব্যবসায়িক গুরুত্বপূর্ন তথ্য থাকার কারণে একাউন্টগুলো অনেক ক্ষেত্রেই হ্যাকারদের লক্ষ্যে পরিনত হচ্ছে। তাই ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচতে জেনে নিন এই উপায় গুলোঃ

 

পাসওয়ার্ডঃ  ফেসবুকের পাসওয়ার্ড কারো সাথে শেয়ার করা উচিত না,অন্তত ৮ ডিজিটের পাসওয়ার্ড রাখা  যেটা হবে রোমান সংখ্যা,ছোট বড় অক্ষর মিলিয়ে।

কারো জন্মতারিখ, পরীক্ষার বছর,কারো নাম পাসওয়ার্ড হিসেবে ঝুকিপূর্ণ।

ফেসবুক হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়
ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখার উপায়

 

লগইনঃ  স্ক্যামাররা বিভিন্ন  ভুয়া ওয়েবসাইট  তৈরি করে ফেসবুকের আইডি লগইন, ইমেইল বা পাসওয়ার্ড চাইতে পারে।সেখানে ইউআরএল দেখে নেওয়া যেতে পারে। ফেসবুকের বাইরে আর কোন শব্দ থাকলে Www.Facebook. Com টাইপ করে  অরিজিনাল পেজ থেকে লগিন করুন।

 

ক্ষতিকর  সফটওয়্যার বা কম্পিউটারঃ  অনেক সময় ফোন, ট্যাব,  কম্পিউটার কিংবা ক্রোম ব্রাউজার বিভিন্ন কোড দ্বারা আক্রমণের শিকার হতে পারে। তখন নিজে নিজেই বার্তা

যেতে থাকে বা কোন এমন পোস্ট হয়ে যায় যা আপনি দেননি তখন সতর্ক হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে ESET বা Trendmicro সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

সন্দেহজনক লিংকে প্রবেশ করবেন নাঃ  হ্যাকাররা বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিয়ে একটা লিংকে প্রবেশ করতে বলে, সেটা টাইমলাইন বা ম্যাসেঞ্জারেই হোক। সেখানে কখনোই ক্লিক করা উচিত না।লিংকের সাইট গুলো বেশির ভাগই ফিশিং সাইট। ফিশিংয়ের মাধ্যমেই আইডি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আপনার একাউন্ট তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আপনার সকল ব্যক্তিগত তথ্য দেখতে পারে এবং আপনার ক্ষতি করতে পারে।

 

ফেসবুক হ্যাক থেকে বাচার উপায় এবং সিকিউরিটি দিয়ে রাখার উপায়

 

ফোনের ওয়াই-ফাই বন্ধঃ  সবসময় ফোনের ওয়াইফাই বা ব্লুটুথ  চালু রাখবেন না।সবসময় ওয়াই-ফাই বা ব্লুটুথ চালু রাখলে অপরিচিত ব্যক্তিরাও ফোনের মধ্যে কি আছে তা দেখার চেষ্টা চালায়। ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে হ্যাকাররা জানতে পারে আপনি কোন নেটওয়ার্কে সক্রিয় আছেন কিংবা ম্যালওয়ার ঢুকিয়ে দেয়,পরে ফোন থেকে তথ্য চুরি, নজরদারির মতো কাজগুলো চালিয়ে যায়।

 

টু –ফ্যাক্টর অন রাখাঃ

 

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিলেও অনেক সময়  হ্যাক হয়ে যাচ্ছে ফেসবুক। পাসওয়ার্ডে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছেনা।

এক্ষেত্রে,সবথেকে শক্তিশালী উপায় হচ্ছে টু-ফ্যাক্টর ভেরিফিকেশান  অন করে রাখা।

অপরিচিত কোন ব্যক্তি আপনার একাউন্টে ঢুকার চেষ্টা করলে,আপনার ফোনে নোটিফিকেশন চলে আসবে।ফলে,আপনি সহজেই সতর্ক হতে পারবেন। টু-ফ্যাক্টরের আরেকটা সুবিধা হচ্ছে,কেউ আপনার  পাসওয়ার্ড জানলেও আইডিতে ঢুকার চেষ্টা করলে আপনার ফোনে একটা কোড চলে আসবে, সেটি তাকে না দিলে পাসওয়ার্ড জানা সত্বেও লগিন করতে পারবেনা।

 

টুলবার ব্যবহার প্রতিটি ওয়েবসাইট ব্রাউজের সময় এইচটিটিপিএস ব্যবহার করুন। এই টুলটি আপনার ব্রাউজারের সব তথ্য ইনক্রিপ্ট করে।

 

একই পাসওয়ার্ড দীর্ঘদিন ব্যবহার না করাঃ  প্রতি ছয় মাস পর পর অন্তত পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করা উচিত।এটি সকল সাইটের জন্যই প্রযোজ্য।যদি মনে রাখতে ভুলে যান,রিমাইন্ডার দিয়ে রাখতে পারেন।

 

রিমেম্বার পাসওয়ার্ড ব্যবহারঃ  এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য যখন আপনি অন্য কারো ডিভাইস দিয়ে আপনার ফেসবুক একাউন্টে লগইন করেন। ফেসবুকে লগইন করার সময় “Would You Like To Remember Password For this Site ” এ ধরণের ম্যাসেজ প্রদর্শন করে। এটিতে Remember password অপশনে ক্লিক না করে “Never Remember Password For This Site ” কিংবা Not Now অপশনটি বেছে নেওয়া নিরাপদ। অন্যের ডিভাইস দিয়ে লগইন না করাই উত্তম,করলেও পরবর্তীতে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে দিতে পারেন।

 

লগইন কোড ভেরিফিকেশনঃ এটি সব থেকে শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর ফলে কোন অপরিচিত ব্রাউজার থেকে লগইন করলে একটি কোড নাম্বারের মাধ্যমে আপনার পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে।

 

ট্রাস্টেড কন্টাক্ট  নাম্বারঃ ফেসবুক আইডির নিরাপত্তার জন্য ট্রাস্টেড  কন্টাক্ট  যোগ করা যেতে পারে।

তাহলে নিরাপত্তা আরো বৃদ্ধি পায়।

 

উপরোক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গুলো অনুসরন করে ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখা যায়।